নিয়াজ মোহাম্মদ,অতিথি প্রতিবেদক || বরিশাল সদর উপজেলায় সাহেবের হাট চরপাতনিয়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মধ্য বয়সী নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এ ঘটনার সাক্ষী বলে দাবী করেছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে পাঠান বাড়ির বাগানে আক্কেল আকনের পুত্র আলতা ফ আকন (৫৫), আলম হাওলাদার, ভ্যান চালক মালেক খন্দকার মিলে মানসিক ভারসাম্যহীন রাশিদা (ছদ্মনাম) কে জোর পূর্বক গণধর্ষণ করে।
ঘটনার সময় ভিকটিম কোন মতে দৌড়ে এসে স্থানীয় মিজান নামের একজন বাসিন্দার ঘরে এসে আশ্রয় নেয় এবং মিজানের স্ত্রীকে সব খুলে বলে।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় থানার দালালসহ আওয়ামী লীগ নেতা মিলে এক শালিস দরবার করে। সেখানে ‘ জ’ দিয়ে নামের নেতার নেতৃত্বে শালিসে তিনজন অভিযুক্তকে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হলেও ভুক্তভোগীর কোন হদিস মেলেনি। ভুক্তভোগী অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন রাশিদাকে রাতের আধারে স্থানীয় সরকার দলীয় কথিত নেতা ও শারিসদার মিলে গোপনে অন্যত্র সড়িয়ে নেয়। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে সাংবাদিক ম্যানেজে নামে ‘জ’ দিয়ে শুরু নামের সেই নেতা ও সঙ্গীয়রা।
চরপতনিয়া বাজারে অভিযুক্ত দুজন আলম ও মালেক সাংবাদিকদের প্রশ্নে এক উত্তরে ভিডিও বক্তব্যে বলেন ‘ আমরা সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে সঠিক চিনিনা। তবে আমরা অপরাধ করেছি। সেই কারনে জাহিদ সাহেব জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা আর ২৫ টা লাঠির বাড়ি ধার্য করছিলেন। পরে আর পিটায়নায়। ‘
ভিডিও বক্তব্য প্রতিবেদকের নিকট রহিয়াছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় সাংবাদিক পরিচয়ে একটি চক্র পচাত্তর হাজার টাকা লেনদেন করে ওই কথিত শালিসে।
শালিস বিচারে উপস্থিত সেই নেতা এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।