শাহাদাত হোসেন রুবেল : তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রের ধূমপানের খবর শোনে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে মা বেছে নিয়েছিল আত্নহত্যার পথ। কিন্তু তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ায় এই যাত্রায় বেচে গিয়েছে মা।ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার বিমানবন্দর থানাধীন শোলনা গ্রামে মা নুপুর বেগমের ছেলে নাজমুল (১৩) স্কুল বাদ দিয়ে ধূমপান করার অভিযোগ শোনে ঢাকায় অবস্থানরত স্বামী কে জানালে স্বামীর উল্টো কথা বলেন যে,তার ছেলে বিপদগ্রস্ত হলে তার দায়ভার নিতে হবে তাকে এই দুই চাপের কারনে বিপাকে পড়ে গতকাল দুপুর ১২ টার সময় মা নুপুর বেগম (৪৫) অভিমানে আত্নহত্যার চেস্টা করে।জানা যায় ওই এলাকার গৃহবধু নুপুর বেগম (৪৫) ঘরে রাখা কীটনাশক সার খেয়ে আত্নহত্যার চেস্টা করেন।আত্নহত্যা চেস্টার কারন হিসেবে ওই এলাকার প্রতিবেশী সাকিব ভোরের অঙ্গিকার কে জানান,গত চারদিন আগে গৃহবধু নূপুরের ছোট ছেলে নাজমুল (১৩) এলাকার খারাপ ছেলেদের খপ্পরে পড়ে ধূমপান করেন।এই বিষয়টি এলাকার কয়েকজনের চোখে পড়ায় তারা এটা নিয়ে বেশ কানাঘুঁষা করেন।একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী এক মহিলা এসে বিষয়টি ছেলের মা কে বলে দেন।পরবর্তীতে ছেলের মা নুপুর বেগম তার ছেলে নাজমুল কে গালমন্দ করায় ছেলে অভিমান করে বাসা থেকে কোথাও চলে যাবেন বলে হুমকি দেন।এই বিষয়টি ছেলের মা ছেলের বাবা (ঢাকায় অবস্থানরত চাকুরীজীবি) কে জানালে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ছেলের কিছু হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানান।এই কষ্টে বা অভিমানে নুপুর বেগম গতকাল দুপুর ১২ টায় ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে কীটনাশক খায়।এলাকার প্রতিবেশী রা অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি সাড়া না দেয়ায় একপর্যায়ে দুই-তিনজন যুবক জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর গিয়ে দেখেন তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন পরক্ষণেই তারা দ্রুতবেগে মোটরসাইকেল যোগে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসক তাকে ওয়াশ করানোর ব্যবস্থা করেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য বলেন।
কিন্তু অন্যদিকে নুপুর বেগমের পক্ষ থেকে কোন স্বজন (এই নিউজ করা পর্যন্ত জানা যায়) এখনো হাসপাতালে আসেননি এবং তার চিকিৎসার কোন খোজ খবর ও নেননি।সেই কারনে নুপুর বেগমের স্বামীর নাম জানা সম্ভব হয়নি।