১.এর আগে বাচ্চুকে হত্যা করতে সর্বাহারাদের ৩০হাজার টাকায় কন্ট্রাক করেছিল মামা বাহিনী প্রধান আউয়াল
২.আসামির খাতায় নাম না আসে সেজন্য কন্ট্রাক শেষে ইন্ডিয়া গিয়েছিল আউয়াল
৩.সেখানে ব্যার্থ হয়ে এবার নিজেই ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে জখম করে সাংবাদিককে
৪.সন্ত্রাসিদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন বরিশালের সাংবাদিক নেতারা
রিপোর্ট-বরিশাল পিপলস : সংবাদ প্রকাশের জের ধরে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার বরিশালের উজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সাকিল মাহমুদ বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম ও তার একটি হাত ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার রাতে উপজেলার আটিপাড়া নামক এলাকায় তার উপরে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।সাংবাদিক বাচ্চুর অভিযোগ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আউয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার উপর হামলা এবং কুপিয়ে জখম করেছে। আহত বাচ্চু বরিশালের আঞ্চলিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকারও উপজেলা প্রতিনিধি। এদিকে ঘটনার পরে সাংবাদিক শাকিল মাহমুদ বাচ্চুকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,সাকিল মাহমুদ বাচ্চু ২০১৯সালের ১২ অক্টোবর প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় “উজিরপুরে কিশোর গ্যাংদের দৌরত্মে শঙ্কায় অভিবাবকরা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। ওই সংবাদে মামা বাহিনীর কথাও উল্লেখ করা হয়।
সেই ক্ষিপ্ততার রেশ ঢালতে সাংবাদিক বাচ্চুকে একাদিক বার হত্যার পরিকল্পনা করে মামা বাহিনীর প্রধান আউয়াল। এর আগেও বাচ্চুকে হত্যা করতে উজিরপুরের সর্বহারা গ্রুপকে ৩০হাজার টাকায় কন্ট্রাক করে ইন্ডিয়া চলে যায় মামা বাহিনীর প্রধান আউয়াল। ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সে যাত্রা রক্ষা হয় সাংবাদিক সাকিল মাহমুদ বাচ্চুর। সাংবাদিককে কন্ট্রাক মার্ডারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। আহত সাংবাদিক বাচ্চু জানান, ‘উজিরপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আউয়াল বর্তমানে কিশোর গ্যাংদের নেতৃত্ব দেয়। এলাকায় মামা বাহিনীর প্রধান হিসেবেই পরিচিত। মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তার লেখা সংবাদ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। সেই জের ধওে দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষুব্ধ আউয়াল। এজন্য ইতিপূর্বে তার উপর আরো একবার হামলা করা হয়। সর্বশেষ সোমবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে জয়শ্রী থেকে ইচলাদী যাচ্ছিলেন বাচ্চু। পথিমধ্যে আটিপাড়া নামক স্থানে মোটরসাইকেল যোগে আসা তিন অস্ত্রধারী অস্ত্রধারী আউয়াল তার আপন খালাতো ভাই শামিম ও কবির গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা বাচ্চুকে এলোপাথারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। সে সময় অচেনা আরো ৭/৮জন হামলায় অংশ নেয়। এতে তার একটি হাত এবং পা রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতী ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎকরা জানিয়েছেন,গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় অপারেশন শেষ করেছেন । পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা না যেতে শঙ্কামুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছি না। অন্যদিকে খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারীদের ধরতে পারেনি তারা। উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান,হামলায় আহত সাংবাদিক বাচ্চুর সাথে কথা হয়েছে কারা কুপিয়েছে। আমরা আসামি ধরার চেষ্টা করছি। কোন ভাবে সন্ত্রাসিদের ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সাংবাদিক বাচ্চুর উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ’র ভাষা প্রকাশ করে সন্ত্রাসিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন,শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক মতবাদ পত্রিকার সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন,নির্বাহি সদস্য ও দৈনিক পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ,রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস,জেলা সাংবাদিক সোসাইটির সভাপতি মাসুদ রানা,বরিশাল নিউজ এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি আরেফিন তুষার,উজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম সরদার,সাধারণ সম্পাদক শিপন মোল্লা।