মেহেদী হাসানঃ
ঢাকা নৌরুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে অনিয়মের কারিগর কেরানি জাকারিয়া। তার বিরুদ্ধে রয়েছে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি, যাত্রিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন ও শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করা সহ বিস্তর অভিযোগ। লঞ্চে যাতায়াতের বেশিরভাগ যাত্রীরা গ্রামের লোক হওয়ায় এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
এদিকে জাকারিয়ার এসব ঘটনায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করায় দিন দিন জাকারিয়ার ত্রাস বেড়েই চলেছে। অথচ এসব কর্মকান্ডের সুন্দরবন-১০ লঞ্চে কর্মরত স্টাফরা দায়সারা জবাব দিয়ে বলছেন এ বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নৌ-পথে যাতায়াতে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন। কিন্তু সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কেরানি জাকারিয়া সরকারি বিধি-নিষেধের কোনো তোয়াক্কা না করে লঞ্চের ডেকে একজনের বিছানার উপরে আরেকজনকে বসতে চাপ সৃষ্টি করছে। অর্থাৎ সরকার ঘোষিত নিয়মানুযায়ী অন্তত ৩ ফুট দূরত্বের কোনো বালাই নেই।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর (৩৮) নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, আমি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ডেকে উঠেছিলেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডেকের সামনে বসার কিছুক্ষন পর একজন স্টাফ এসে আমাকে অন্য একজনের সাথে বসতে বলেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় ওই স্টাফ আমাকে প্রথমে অশ্লীল ভাষায় গালগালি এবং পরে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে লঞ্চ থেকে বের করে দেয়। পরে আশপাশের অন্যান্য লঞ্চ স্টাফদের কাছ থেকে জানতে পারি ওই লঞ্চ স্টাফের নাম জাকারিয়া এবং সে ওই লঞ্চের কেরানি।
এ বিষয়ে জাকারিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যাত্রীরদের সাথে মাঝে মধ্যে দুই একটি ছোট-খাটো ঘটনা ঘটতেই পারে।
সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টুর সাথে এসব বিষয়ে কথা বলতে তার বহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
জাতীয়, বরিশাল, লিড নিউজ