নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে গনসাক্ষর কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গেল ১৫জুলাই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত থাকে গনসাক্ষর কর্মসূচি । এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি সাতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। নগরীর সদর রোডে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক আগ্রহের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাক্ষর প্রদান করছেন।
প্রকাশ থাকে,সরকারি বরিশাল কলেজ ১৯৬৩ সালে ‘বরিশাল কলেজ’ নাম দিয়ে প্রথমে নাইট ও পরে দিবা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে কলেজটি ‘সরকারি বরিশাল কলেজ’ নামে জাতীয়করণ করা হয়। সম্প্রতি নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মতামত চাওয়ার খবর চাউর হওয়ায় দুটি পক্ষ নগরীতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করে গেল শনিবার কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ব্যানারে নগর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে। এর জবাবে বাম সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মঙ্গলবার ১০১ সদস্যের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামকরণ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ জেঁকে বসেছে। বুধবার নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছে। কলেজের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের ব্যানারে আ’লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সড়কে গণস্বাক্ষর গ্রহণ এবং নাম পরিবর্তনের দাবিতে বাম সংগঠন বাসদ’র ও বামপন্থীদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ দুপক্ষের মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। গত ফেব্রæয়ারিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের মতামত চেয়ে গত ২৯ জুন চিঠি দেয়। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে সাবেক ছাত্রনেতাদের ব্যানারে একটি পক্ষ নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে আসছে। কিন্তু নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে নগরীর সাংস্কৃতিক ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণস্বাক্ষও কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর , সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আহমেদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব খান। অপরদিকে বাসদ নেত্রী ডা. মণীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন বাম নেতারা।