মাসুদ রানা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা নওয়াব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে ৬০০ একর জমি দান করেছেন। শুধু তাই না, নিজ তহবিল উজাড় করে দান করেছেন।ব্রিটিশ যুগে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। ব্রিটিশ যুগ গেছে, পাকিস্তানি আমল পেরিয়ে বাংলাদেশেরও প্রায় অর্ধশতাব্দী ছুঁই ছুঁই। ঋণ শোধ হয়নি। দেনার দায়ে সরকারের হেফাজতে এসেছিল হীরক খণ্ড ‘দরিয়া-এ নূর’ ও আরো ১০৯ প্রকার স্বর্ণালংকারসহ নবাবদের ভূসম্পদ। হীরা ও স্বর্ণালংকারগুলো এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন রক্ষিত আছে সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভল্টে। ঢাকা গড়ায় অবদান রাখা নবাব সলিমুল্লাহ ১১০ বছরেও ঋণমুক্ত হতে পারেননি।
গভর্নমেন্ট থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ধারও নিতে হয়েছিল তাকে। কই?সমাজ-প্রাণ এবং বদান্যতার গুণে গুণান্বিত নবাব সলিমুল্লাহ’র নামে তো ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় করার তো কোন প্রশ্ন উঠছে না?। অথচ অশ্বীনী কুমারের দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠা হও্য়া বরিশাল কলেজের নামটা পরিবর্তন করতে একটি বিশেষ মহল উঠে পড়ে লেগেছে।আসলে তাদের উদ্দেশ্য কি? আসুন এসব নষ্টামি বাদ দিয়ে অশ্বীনী কুমারের নামে বরিশালে আরেকটি কলেজ করার দাবি জানাই!