বিপ্লব আহমেদ ,বরিশাল পিপলস ।। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার- মহিপুরে জমি দখলের জের ধরে দু’দফা হামলা চালিয়ে মামা ও ভাগ্নে কে গুরুতর জখম করেছে জাহাঙ্গীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। আহতরা হলেন, মাসুদ হাওলাদার ও তার মামা লিটন খান। মাসুদ ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে সে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বুধবার (২২ জুলাই) রাত ৮ টায় সিরাজপুর জাকির হাওলাদার এর বাড়ির সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। আহতের মামা লিটন জানান, তার ভগ্নিপতি মৃত: আবদুল বারেক হাওলাদার ১৫ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত: আব্দুস সত্তার খানের কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। বারেক মারা যাওয়ার পর একই গ্রামের ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী সুলতান খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে দীর্ঘদিন ধরে বারেকের জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। বিষয়টি বারেকের ছেলে মাসুদ জমি বিক্রেতা সত্তার খানের ছেলেকে জানালে সে মাসুদের পক্ষে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করতে যাওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তদন্তে জাননি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার এর কাছে অভিযোগ করলে তিনি সালিশ মীমাংসায় সুলতানের পরিবারকে মাসুদের জমিতে ঘর উঠাতে নিষেধ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বুধবার রাত ৮ টায় স্থানীয় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী সুলতান খান,মঞ্জু খান, মামুন খান,আব্দুল জলিল,কুসুম বেগম, ইউনুস ও সোবাহান সহ অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জন সন্ত্রাসী ইউপি সদস্যর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর উঠানোর চেষ্টা চালায়। এসময় মাসুদ বাধা প্রদান করে।একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনের ভগ্নিপতি ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে সুলতান ও অন্যান্যরা মাসুদ কে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রড, রামদা ও চাপাতি সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে তার ডান হাত ভেঙে দেয়া সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহত কে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে ঘটনার পরের দিন আহতের মামা লিটন বিষয়টি ইউপি সদস্য মামুনের কার্যালয় অভিযোগ জানাতে গেলে মামুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে লিটনকে তার রুমে আটকিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এবং তাকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে বলে তিনি জানান। মামুনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মাস খানেক আগে মহামারী করোনার ত্রাণের চাল চুরির অভিযোগে তিনি হাজত খাটেন।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাসুদের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৭ জুলাই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে শেবাচিম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। তার ডান হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে বলে ওই ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তার স্বজনরা জানান।
আইন-আদালত, পটুয়াখালী, রাজনীতি, লিড নিউজ