বরিশাল প্রতিনিধি : ঢাকা-বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী ‘সুন্দরবন-১১’ লঞ্চের ছাদে শামীম তালুকদার (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল টার্মিনালে পৌঁছালে ছাদের ধোয়া নির্গমনের চিমনির আড়াল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের মো. খালেক হাওলাদারের ছেলে। বরিশাল নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহতের পেটের নাড়িভূড়ি বের হওয়া অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। সেসময় নিহত শামিমের পরিচয় না পাওয়া গেলেও লাশের পাশে নিহতের বন্ধু ও সহকর্মী রিপন নামক একজনের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। ওই পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে সিআইডি পুলিশ লাশের পরিচয় উদ্ধার করেছে। রিপন ও নিহত শামীম নারায়গঞ্জে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। রিপনের বক্তব্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাড়িতে যাওয়ার জন্য শামীম বন্ধু রিপনের কাছ থেকে সোমবার ব্যাগটি নিয়েছে। ওই ব্যাগের মধ্যে রিপনের পরিচয়পত্র ছিল। রিপন পুলিশকে জানিযেছে, সোমবার সন্ধ্যায় শামীম ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়। লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তি লঞ্চের ডেক যাত্রী (তৃতীয় শ্রেণী) ছিলেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা সুন্দরবন- ১১ লঞ্চের ছাদে ইঞ্জিনের পাশে শামীমের লাশ দেখতে পান লঞ্চের কমর্চারীরা। কে বা কারা তাকে খুন করে পালিয়ে গেছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি। সুন্দরবন-১১ এর মাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, বরিশাল বন্দরে মঙ্গলবার ভোরে ৪টায় পৌঁছায়। ভোরে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর লঞ্চের কর্মচারীরা ছাদে পানি ছিটাতে গিয়ে ওই যুবকের লাশ ইঞ্জিনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
আইন-আদালত, লিড নিউজ