ঝালকাঠি প্রতিনিধি : প্রায় এক মাস ধরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাত রিহাবে রয়েছেন। উছৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করা ও পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইউপি চেয়ারম্যান বাবা আব্দুস শুক্কুর মোল্লা। ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ তাকে যশোরের রিহাবে পঠিয়েছে। এতে ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। নেতৃত্ব সংকটে ভেঙ্গে পরেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাত নিজ দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে অশোভন আচারন, নিজ ইউনিয়ন কীর্ত্তিপাশায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা, হিন্দু পরিবারের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে সাথে যুক্ত। ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতাকে নারী দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগও রয়েছে এই ছাত্রলীগ নেতা রফিকুর রহমান রাহাতের বিরুদ্ধে। মাদকসেবী এই ছাত্রলীগনেতাকে নিয়ে বিব্রত খোদ আওয়ামী লীগ ও এর অংগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। না প্রকাশে অনেচ্ছুক ছাত্রলীগের স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা বলেন,‘ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাতের কর্মকান্ড শুরু থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা এব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। প্রসংগত, গত ২১ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রাহাতকে সন্ত্রাসী কর্মকাÐের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। ওই দিন সকাল ১১টার দিকে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাহাতের বিরুদ্ধে তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস শুক্কুর মোল্লা বাসায় ভাংচুর ও অবাধ্য আচরণের অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। রাহাত তার বাবা মায়ের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এর প্রতিবাদ করলে বাসায় ভাংচুর চালায় সে। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাÐের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারনে তার বাবা মা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে বাসা থেকে রাহাতকে আটক করে।