রিপোর্ট \ নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর চাঁদমারী ব্যপ্টিষ্ট মিশন রোড এলাকার কুখ্যাত চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও নানা অপকর্মের মূলহোতা জলিল ওরফে চোরা জইল্লা অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল বিকালে চাঁদমারী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে থেকে ২টি মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী জলিল ওরফে চোরা জইল্লাকে কোতয়ালী মডেল থানার চৌকর এসআই মোঃ রিয়াজুল ইসলাম-২ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে আটক করতে সক্ষম হন। কোতয়ালী মডেল থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম নিশ্চিত করেন জলিল নামে যে ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সে কোতয়ালী মডেল থানার এজাহারকৃত চাঁদাবাজী মামলা যার নং-৬/২১ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর একটি মামলা যার নং-৭/২১ মামলার প্রধান আসামী সহ তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চোরা জলিলকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে থানা সূত্র। জানা গেছে, বরিশাল নগরীর এই কুখ্যাত চোরা জলিল দীর্ঘ বছর যাবত ব্যপ্টিষ্ট মিশন ও চাঁদমারী এলাকায় অপরাধ জগতের অভয়ারন্য গড়ে তুলেছে। স্থাণীয় ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর ও শ্রমিকলীগ নেতা মানিকের আশ্রয় প্রশ্রয়ে দিনে দিনে প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে চোরা জলিলের অপরাধ অপকর্মের ফিরিস্তি ভয়ানকরুপ ধারন করেছে। চোরা জলিল শুধু চুরি ছিনতাই ও মাদক বানিজ্যর সাথেই সীমাবদ্ধ নেই সে এখন বরিশাল নগরীর এক মস্তবড় চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্যাং লিডার বনে গেছে। তাকে চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করায় চাঁদমারী এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। চোরা জলিলের চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছে না মাথার গাম পায়ে ফেলিয়ে রুটি রুজির যোগান দেয়া গরীব রিকশা চালক, ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ী, চটপটি ফুচকা বিক্রেতারাও। চোরা জলিলের হাতে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হচ্ছে চাঁদমারী এলাকার রিক্সা ও অটোচালকরা। তাদের মাসিক ও দৈনিক ভিত্তিতে তাকে চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যথায় চোরা জলিল ও তার বাহিনীর হাতে নির্যাতন নিস্পেষনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। সর্বশেষ চোরা জলিলের চাঁদাবাজীর শকুনি থাবার শিকার হন নগরীর একটি প্রতিষ্ঠিত অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মোঃ পলাশ চৌধুরী নামক এক ব্যাক্তি। তার দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে টনক নড়েছে থানা পুলিশের। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে চোরা জলিলকে ১ নং আসামী করে চাঁদাবাজীর মামলা রেকর্ড হয়। অপরদিকে, দীর্ঘদিন যাবত চোরা জলিল নিজেকে প্রশাসনের হাত থেকে আড়াল করে রাখার উপাদান হিসাবে একটি নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক প্রকাশক পরিচয় দিয়ে আসছিল। অথচ এই চোরা জলিল কোনদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা মাদরাসার চৌকাঠ ডেঙ্গায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। উক্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালে বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক আমাদের আমাদের বরিশাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম বরিশাল’র সহ সভাপতি এ্যাড. এস.এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমনাতœক মানহানীকর ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। যাহা উক্ত অবৈধ ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন নিউজ পোর্টালে আইসিটি আইনের দন্ডনিয় অপরাধের সামিল। ফলে তিনি চোরা জলিলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭/২১। উক্ত মামলায়ও চোরা জলিলকে আটক দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানা সূত্র। উল্লেখ, এই চোরা জলিল গত ৪ মার্চ বরিশাল ‘ল’ কলেজের সামনে থেকে ফিল্মিস্টাইলে এ্যাম্বুলেন্স ছিনতাই করলে তার বিরুদ্ধে ১০ মার্চ বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাল চোরা জলিল ৪নং আসামী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও চোরা জলিল বেশকিছুদিন ধরে চরমোনাই পীরের নাম ভাঙিয়ে প্রশাসনকে ধোঁকা দিয়ে পথ চলে আসছিল। চোরা জলিল প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় সে চরমোনাই যুব আন্দোলনের নেতা কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, চরমোনাই পীর সাহেবের দলে তো আর লোকের অভাব নাই। তাহলে এই চিহ্নিত চোর ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজকে কেন স্থান দিচ্ছেন।
আইন-আদালত, লিড নিউজ