মো:আল আমিন সিকদার,নলছিটি থেকে ফিরে : ঝালকাঠি জেলার নলছিটি দপদপিয়া ইউনিয়নের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক’র বটতলা নামক স্থান থেকে কালু গাজীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলো মিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটির বেহাল দশা। অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দে ভরা। স্থান বিশেষ এতো বেশি বড় বড় গর্ত যে গর্ভবতী নারী অসুস্থ রোগিরা তো দুরের কথা সুস্থ সাধারন মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এসব কারনে মালবাহি কোন গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বড় গর্তে আটকে পড়ে ট্রাক বা ভারী যানবাহন। সৃষ্টি হয় যানজট।
পাশাপাশি ছোট বড় গাড়ি চলাচওে অত্যধিক পরিমানে ধূলি বালু উড়তে থাকে। যার দরুন শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ঠ হয় পথচারীদের। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে,ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব ধরনের প্রয়োজনে নলছিটি বাসীর ওই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। কমপক্ষে ১০হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে সেখান থেকে। বিকল্প কোন রাস্তাও নেই।ফলে ভোগান্তির শেষ নেই দপদপিয়াসহ বৃহত্তর নলছিটিবাসীর। সাধারন মানুষ বলেন গত দশ বছরে এই রাস্তার কোনো কাজ হয়নি। তাদের ভাষ্য,যাকে আমরা এই এলাকার মেম্বার প্রতিনিধি বানাইলাম। জনপ্রতিনিধিরা চেয়ারম্যান মেম্বার হওয়ার আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো রাস্তাটি পাকা করনের। এরপর আর আমাদেরই কোন খোজ খবর রাখেনি। দপদপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন,আমার ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ আমি জানি। আমার রাস্তাটির দিকে খেয়াল আছে এবং আমার জানা মতে রাস্তাটি এলজিডিতে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে দ্রুত রাস্তা মেরামতের জন্য প্রচেষ্টা চালাবো।
এলাকার কিছু সন্মানিয় ব্যাক্তি বর্গ তাড়াও জোড় দাবি জানিয়েছেন। ঝালকাঠি জেলার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতিকালু গাজী,আ’লীগ নেতা এডভোকেট মোঃসোহেল গাজী,দপদপিয়া ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সভাপতি ও বরিশাল শ্রম আদালত এর মেম্বার সহিদুল ইসলাম সহিদ ,আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, আলতাফ হাওলাদারসহ এলাকার সচেতন মহল থেকে দাবি উঠেছে রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরী।
তা না হলে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ অবস্তায় অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।