মাসুদ রানা : মানুষ যেখানে এই করোনাকালীন সময়ে জীবন জীবীকার ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে সেখানে হঠাৎ করে একজন প্রতিভাবান মেধাবী নায়িকা গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত যে ধরনের নাটকীয়তা জন্ম দিচ্ছে…. তাতে মনে হচ্ছে,পরীমনিকে দিয়ে আমরা জনগন ক্ষুধা মেটাবো। ভয় হয়, শুধু পরীমনিকে দমন করা হচ্ছে ? নাকি বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি খারাপ ধারনা তৈরি করার জন্য তারকাটার ওপার থেকে বাবুরা কলকঠি নাড়ছেন?। কেন বলছি কথাটা?..কোন ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে যখন আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় তখন অভিজ্ঞতা বলে এর পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। যাই হোক পরীমনির বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হয়নি;মদ উদ্ধার হয়েছে..আইন অনুযায়ী মদে ৫% পর্যন্ত এলকোহল পার্মিট করে। আবার রাষ্ট্র এর লাইসেন্স দেয়..নির্দিষ্ট পরিমান ভোগ বা বহনের জন্য। সামান্য এ বিষয়টি নিয়ে এতো নাটকীয়তার বিস্ফোরন…তা ভাবনায় রাখা উচিৎ আমাদের তরুন প্রজন্মের। আমরা এ ঘটনা থেকে কি পেলাম? তবে হ্যাঁ পরীমনিকে নিয়ে বলা হচ্ছে, তিনি বাসায় আসর বসান..প্রশ্ন হচ্ছে, পরীমনি খারাপ সে রাতে আসর বসায়- ফূর্তি করে মানলাম । তাহলে ফূর্তি করা অবস্থায় সেই ধনাট্য ব্যক্তিদেরসহ গ্রেফতার করা হলো না কেন? থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই কেন পরীমনি মেহমান খানায় ডেকে নিয়ে ছবি তুলে ব্লাকমেইল করেছে!!? তবে হ্যাঁ উপমহাদেশর অনেক নায়িকাই তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন প্রভাবশালীর বিছানায় না গেলে ফাঁদে পড়তে হয়।এমনকি ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার উপক্রম হয়। অনেক সময় জানে বাঁচা দায়।পরীমনির ক্ষেত্রে সেরকমই যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বলবো,দেশে অনেক পতিতালয় আছে আপনারা সেখানে যান। তবুও একজন নারীকে টার্গেট করে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস থেকে ফিরে আসুন। ছিড়ে ফেলুন পরীমনিকে ঘিরে রাখা ষড়যন্ত্রের জাল।নিছক অন্যায় করে থাকলে একজন পরীমনিকে ভালো করার জন্য ডামাঢোল বাজানোর কিছু নেই।আইনানুযায়ী বিচার করা হোক।
লেখক : মাসুদ রানা
বরিশাল প্রতিনিধি
দি নিউ নেশন
প্রতিদিনের সংবাদ