জাকির হোসেন,ববি প্রতিনিধি : প্রতিষ্ঠার ৮ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো প্রয়োজনীয় বই নেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে। পাশাপাশি সেখানে বই পড়ার আসন সংখ্যাও সীমিত। হাল সময়ে এ বিশ্ব-বিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছে না বই ও লাইব্রেবির আসন সংখ্যা। এই দুই ধরনের সংকটের কারনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে জ্ঞান পিপাশু শিক্ষার্থীদের। সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে তাদের পড়াশুনার জন্য লাইব্রেরিতে আসন সংখ্যা মাত্র ১৬০টি। । এ হিসাবে প্রতি ৫০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি আসন মাত্র। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সকাল থেকে রাত অবধি খোলা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। সরেজমিনে লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রাণ রসায়ন ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের ৫ টি, উপকূলীয় বিদ্যা ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ১৩ টি,দর্শন বিভাগের ১৭ টি,পরিসংখ্যান বিভাগের ১৭ টি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৬ টি করে বই রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অন্য বিভাগেরও বইয়ের সংকট রয়েছে। ৩১ হাজার ৪০০ ই-জার্নাল ও ১ লাখ ১২ হাজার ই-বুক থাকলেও কম্পিউটার ল্যাবে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। উপকূলীয় বিদ্যা ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী জানান, বসার জন্য পর্যাপ্ত আসন নেই ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। সাথে বই সংকট রয়েছে । ফলে আমরা অনেকে কিছুই বিস্থারিত জানতে পারছিনা। এছাড়াও কর্মচারীরা ঠিকমত লাইব্রেরির পরিচর্যা করছে না বলেও অভিযোগ করেন। লাইব্রেরির দায়িত্বরত কে এম নাজমুত তারেক (সেকশন আফিসার লাইব্রেরি) কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে তাই সমস্যা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, কিছু কর্মচারী রাজনীতির প্রভাব দেখিয়ে কাজ করতে চায় না শিক্ষর্থীদের দাবি, দ্রুত বই ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটি সমৃদ্ধ করা হোক, যাতে করে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশী প্রয়োজনীয় গবেষণার সুযোগসুবিধা লাভ করতে পারে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেন, লাইব্রেরির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
অর্থ বানিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লিড নিউজ