যারা রোজা রাখতে চাইছেন না;তারা আরেকবার ভেবে দেখুন!! - বরিশাল পিপলস
বিকাল ৩:০০ ; শুক্রবার ; ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
facebook Youtube google+ twitter
×




যারা রোজা রাখতে চাইছেন না;তারা আরেকবার ভেবে দেখুন!!

বরিশাল পিপলস
১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

লেখক : ডা. সজল আশফাক (সহযোগী অধ্যাপক, মিলড্রেড এলি ক্যারিয়ার কলেজ, নিউ ইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাস, যুক্তরাষ্ট্র) : অটোফেজি শরীরকে ভাঙে না বরং শরীর গড়ে। আর অটোফেজি এর পদ্ধতিকে চালু করতে প্রয়োজন কিছুটা দীর্ঘ তবে সবিরাম উপবাস। যা রোজার রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি করতে পারেন। তবে এসব কিছুই সুস্থ ব্যক্তির সুস্থতার জন্য। পৃথিবীর অনেক জ্ঞানী বিখ্যাত ব্যক্তিই শরীরে প্রাকৃতিক নিরাময়ের ক্ষেত্রে একটিমাত্র অভিন্ন সমাধান দিয়েছেন। কী সেই সমাধান? উত্তর শুনলে হয়তো অনেকেই চোখ কপালে তুলবেন। সমাধানটি হচ্ছে ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং বা সবিরাম উপবাস। উপবাস নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকের শরীরের মধ্যেই একজন ডাক্তার বসবাস করে আমাদের উচিত সেই ডাক্তারকে কাজ করতে দেওয়া। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তিনি আরও বলেছেন, খাবারই হওয়া উচিত আমাদের ওষুধ, ওষুধই হওয়া উচিত আমাদের খাবার। কিন্তু আমরা যখন অসুস্থ হই তখন যদি আমরা খাবার গ্রহণ করি তখন তা কিন্তু প্রকারান্তরে সেই অসুস্থতাকেই খাবার জোগান দেওয়া হয়। শরীরের ডাক্তারকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন উপবাস, উপবাস করলেই শরীরের সেই ডাক্তার কাজ করতে পারে। এ বিষয়ে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে উপবাস এবং বিশ্রাম। সবিরাম উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং প্রসঙ্গে আলোকপাত করার আগে আরও একটা বিষয়ে জানা ভালো, সেটি হচ্ছে ফ্যাস্টিং এবং স্টারভেশন কিন্তু এক নয়। স্টারভেশন মানে অপরিকল্পিত অনাহার যাতে অপুষ্টির ঝুঁঁকি থাকে। সবিরাম উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফ্যাস্টিং একটি পরিকল্পিত উপবাস, এর একটা নির্দিষ্ট ডিজাইন থাকে, নিয়ম থাকে তা সে যেমনই হোক। রোজা তেমন এক ধরনের উপবাস যা ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে মুসলমানরা করে থাকেন। শরীরকে নিরোগ রাখার প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে সবিরাম উপবাস। মানুষের শরীরটা এমনভাবে তৈরি যে, প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য শরীর খাবার সঞ্চিত রাখতে পারে। কেউ যদি টানা ১০-১২ ঘণ্টা উপবাস থাকেন তখন লিভারে সঞ্চিত খাবার গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে খাবারের চাহিদা পূরণ করে শক্তির জোগান দেয়। এছাড়া উপবাসে শরীরের বাড়তি চর্বি ব্যবহৃত হয়, কমে যায় ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মাত্রা, কমে হৃদরোগের ঝুঁঁকি, সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ, সঙ্গে কমে যায় ওজনও। তাছাড়া মানসিক প্রশান্তি তো আছেই। এগুলোর প্রায় সবই আমাদের জানা আছে।
এই ঘটনা ছাড়াও আরো একটি বিষয় ঘটে শরীরের মধ্যে। সেটি হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষ মরে যায়, মৃত এই কোষগুলো কোষের অভ্যন্তরে লাইসোজোম নামের একটি বিশেষ কোষাঙ্গে জমা হতে থাকে। একইভাবে শরীরের মধ্যে মৃত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসও জমা থাকে লাইসোজোমে। বলা যেতে পারে লাইসোজোম হচ্ছে কোষের রিসাইকেল গার্বেজ বিন। কিন্তু শরীর যখন কোন চাপের মুখে পড়ে তখন রিসাইকেল গার্বেজ বিনে সঞ্চিত মৃতকোষগুলো থেকে শরীর শক্তি এবং নতুন কোষ তৈরি করে। যার ফলে শরীরের বর্জ্য ব্যবহৃত হয়ে শরীরকে করে দূষণমুক্ত। শরীরের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি, যার অর্থ হলো সেল্ফ ইটিং বা আত্মভক্ষণ। অটোফেজি প্রক্রিয়ার এই বিষয়টি আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন জাপানের ডা. ইয়োসনারি উসোমি। অটোফেজি হচ্ছে শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করার পদ্ধতি। কোনো কারণে এই অটোফেজি প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তা টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অটোফেজি প্রক্রিয়ায় শরীরে তৈরি হয় নাইট্রিক অক্সাইড। এই নাইট্রিক অক্সাইড দেহকোষকে পুনরুজ্জীবিত করে বাড়িয়ে দেয় কোষের আয়ু যা এন্টি এজিং বা বার্ধক্য রোধক হিসেবে কাজ করে। কোষ পুনরুজ্জীবনের ইতিবাচক প্রভাব পুরো শরীরের ওপরই পড়ে যা অন্য অঙ্গের উপকারে আসে। তার মানে হচ্ছে অটোফেজি শরীরকে ভাঙে না বরং শরীর গড়ে। আর অটোফেজি এর পদ্ধতিকে চালু করতে প্রয়োজন কিছুটা দীর্ঘ তবে সবিরাম উপবাস। যা রোজার রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি করতে পারেন।

***দেখে নেই রোজা রাখার বিষয়ে আরেকজন বিজ্ঞানীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা :

বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি ও অটোফেজি
মো. আরিফুর রহমান, শিজুওকা (জাপান) থেকে : 

নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপানের অটোফেজি গবেষক ইয়োশিনোরি ওহশোমি। রোজা রাখার মাধ্যমে জীবদেহ কেমন করে ত্রুটিপূর্ণ কোষ ধ্বংস করে নিজের সুরক্ষা করে এবং কোষ কীভাবে নিজের আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে সুস্থ থাকে, সেই রহস্য বের করার কারণে নোবেল পুরস্কার পেলেন এ বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের ভাষায় এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় অটোফেজি। আর যে জিনটি এই অটোফেজি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে সেটি শনাক্ত করেছিলেন টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এ অধ্যাপক। ১৯৬০ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম দেখতে পান, রোজা রাখলে বা সিয়াম সধনা করলে, কোষ কীভাবে নিজের ভেতরে একটি বস্তার মতো ঝিল্লি তৈরি করে নিজের আবর্জনা বা ক্ষতিগ্রস্ত উপাদানকে তার ভেতরে আটকে ফেলে। বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান ডে ১৯৭৪ সালে এ লাইসোজম আবিষ্কারের কারণে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তবে সেখানে ঠিক কী ঘটে সেটা তখন বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না। বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি পৃথিবীতে সর্ব প্রথম অটোফেজি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি লক্ষ্য করেন লাইসোজম শুধু দেহের আবর্জনা বা ক্ষতিগ্রস্ত উপাদান জমা করে রাখে না। এটা রিসাইক্লিং চেম্বার বা নবায়নযোগ্য শক্তিব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে নতুন উপাদান/কোষ তৈরি করে। ইউশিনোরি দেখিয়েছেন, কোষেরা নিজেরাই নিজেদের বর্জিতাংশ বা আবর্জনাকে আটকায়। এরপর সেখান থেকে উপকারী উপাদানগুলোকে ছেঁকে আলাদা করে ফেলে। তারপর ওই দরকারি উপাদানগুলো দিয়ে উৎপাদন করে শক্তি কিংবা গড়ে তোলে নতুন নতুন অনেক কোষ। এ মহৎ কাজ তাঁকে আজ ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে।
অটোফেজি প্রক্রিয়াটি আসলে কি? অটোফেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে—আত্ম ভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা। বিষয়টি শুনতে ভয়ানক হলেও এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কেননা এটা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার একটা প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হয় কোষীয় পর্যায়ে। শরীরের বিভিন্ন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রোটিন তৈরি হয় এবং প্রোটিনের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রোটিনের গঠনটি অ্যামিনো অ্যাসিড দ্বারা ত্রিমাত্রিক হতে হয়। যদি ত্রিমাত্রিক না হয় তবে প্রোটিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে ও নানা রোগের সৃষ্টি করবে।
অটোফেজির প্রক্রিয়াঅটোফেজির প্রক্রিয়াএক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০% প্রোটিন সঠিকভাবে সংশ্লেষ হতে পারে না ফলে এদের ধ্বংস করা, শরীর থেকে বের করে দেওয়া কিংবা অন্য উপায়ে কাজে লাগানো জরুরি। কেননা শরীরে এরা থাকলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হবে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে ক্ষতিকারক প্রোটিনকে কাজে লাগানো যায়? আমাদের দেহ অটোফেজির মাধ্যমে এদের কাজে লাগায়। অটোফেজি প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরকে কার্যকরী করে রাখে, দুর্বল অঙ্গাণু থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। শরীরে এ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত থাকলে ক্যানসার কিংবা নানাবিধ স্নায়বিক রোগ হতে পারে। নোবেল কমিটির মতে, ইয়োশিনোরির গবেষণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ক্যানসার থেকে শুরু করে নানাবিধ স্নায়বিক রোগগুলোর (যেমন ডেমনেশিয়া, পারকিনসন্স) ক্ষেত্রে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয় তা বুঝতে তার গবেষণাটি সহায়তা করে। এককথায় বলা যায়, অটোফেজি রোগ প্রতিরোধ করে এবং আমাদের যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে।
প্রথম জীবনে তিনি রসায়নে গবেষণা শুরু করেছিলেন। রসায়ন তাঁর কাছে আকর্ষণীয় না হওয়ায় তিনি কোষীয় জীববিদ্যায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ভালো ফলাফল না পাওয়ায় এক সময় তাঁকে খুব কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল। নতুন একটি ক্ষেত্রে কাজ করা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সে জন্য, আজ থেকে ২৭ বছর আগে ইস্ট নিয়ে গবেষণার সময় ইউশিনোরি ওসুমি এই অটোফেজি ব্যবস্থা আবিষ্কার করে ফেলেন। তাঁর মতে, গবেষণায় ভালো ফলাফল আসবে তা কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না, তবুও গবেষকেরা কাজ করে যান। কারণ তারা গবেষণায় আনন্দ পান ও এই জিনিসটাই গবেষণার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি গবেষণায় ঝুঁকি নেওয়া ও ব্যর্থতার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন। বিজ্ঞান সফলতা চায়, ব্যর্থতা গ্রহণ করে না, তিনি সে সাক্ষাৎকারে তরুণ গবেষকদের ব্যর্থতায় হতাশ না হয়ে পরবর্তী সুযোগ গ্রহণের উপায় দেখিয়েছিলেন।
জাপানি অধ্যাপক ইয়োশিনোরি, অটোফেজি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারী জিন শনাক্ত করার পাশাপাশি এসব জিনে কোনো সমস্যা হলে কীভাবে রোগ সৃষ্টি হয় তাও দেখান। তাঁর গবেষণার মধ্য দিয়ে স্নায়ুজনিত ওই সব রোগে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয়, তা বোঝা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত নানাবিধ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইয়োশিনোরি বলেছেন, অটোফেজি নিয়ে যখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন, তার চেয়ে এখন অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি। এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা ভবিষ্যতে জানতে পারব। কেননা এখন আর তিনি একা নন। এ পৃথিবীতে হাজার হাজার গবেষক অটোফেজি নিয়ে কাজ করছেন। অটোফেজি প্রক্রিয়ার এ চলমান গবেষণা ভবিষ্যতে আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় যে অনেক সুফল নিয়ে আসবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
*লেখক অটোফেজি গবেষক, শিজুওকা ইউনিভার্সিটি, জাপান।

আইন-আদালত, আন্তর্জাতিক, ইসলাম ও জীবন, লাইফ স্টাইল, লিড নিউজ, স্বাস্থ্য পরামর্শ




আপনার মতামত লিখুন :




এই বিভাগের আরো সংবাদ




আমাদের ফেসবুক পেজ

সম্পাদক ও প্রকাশক: মাসুদ রানা
ব্যবস্পাপনা সম্পাদক: কামাল সরদার (মুন্না)

ঠিকানা: জাহানারা মঞ্জিল, কবি নজরুল ইসলাম

সড়ক, নথুল্লাবাদ ( বাস-টার্মিনাল’র দক্ষিনপাশে) বরিশাল।
মোবাইলঃ 01718666126
ই-মেইলঃ masud.journalsit24@gmail.com

ই-মেইল: barisalpeoples@gmail.com
টপ
  বরিশালে মিথ্যা কাবিন নামার ফাঁদে ফেলে তরুনীদের সর্বনাশ, প্রতারক চক্রের সদস্য কাজী কারাগারে   বিজয়ের পথে শেখ হাসিনা, পরাজিত হলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি..!!!   নাশকতার নতুন ফাঁদ, মহাসড়কে ধারালো লোহার পাতে বিকল যানবাহন   কাশিপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত,পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ   বদলীর চাদরে ঢাকা পড়েছে মামুন মাহমুদের দুর্নীতি   বরিশালে দানবীর হাজী মহসিন’র নাম সরিয়ে ‌‌‍‌‌”ডিসি মার্কেট‌”, জনমনে ক্ষোভ   বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব’র ইফতার মাহফিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবী   ঢাকায় দেড় মিনিটের কিলিং মিশন,দুইজন খুন!!   বরিশাল মেডিকেলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরেছে নার্সরা   শিক্ষার্থীদের ছুটি, বিদ্যালয়ে প্যান্ডেল সাজিয়ে বিয়ের আয়োজন   তিনদিন ঘুরেও সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র সাথে দেখা করার সিডিউল মেলেনি এক তরুন বিজ্ঞানীর!!   মুলাদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শিপু-সম্পাদক সুমন   চরমোনাই ওয়াজ শুনতে যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবি,৩ মুসল্লির মৃত্যু!!   বরিশালে পাঁচ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিরূদ্দেশ হওয়া দুই কিশোরীর   ‘যখন ভয় পাই, তখন আমি আল্লাহর নাম নিই’-মুসকান খান   মেহেন্দিগঞ্জে ভোটের মাঠে ফের সন্ত্রাস, ধানের শীষ প্রার্থীর ভাই আহত   বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে চালু হলো ৪ জটিল রোগের বহিঃবিভাগ   বিএমএসএফ অফিসে হামলা ও সাংবাদিক লোকমান’র হাজতবাস’র ঘটনায় প্রতিবাদ সভার আহবান   বরিশালে কাঠ মিস্ত্রি দিপু হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন   সাংবাদিকদের জাতীয় পরিষদ গঠন, অত:পর সন্ত্রাসী হামলা!!!