মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিষয়টি মুঠোফোনে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন। বর্তমানে জিজ্ঞাবাদের জন্য হাদিস মীরকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক শামীমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হাদিস মীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করে একই জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসিফ ইকবাল।
ডিবি পুলিশ জানায়- প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সীল ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ ছিল হাদিস মীরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে নিজ গ্রাম বরিশাল শহরের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকা থেকে তাকে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সীল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে সেখানকার কাউনিয়া থানা পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই রাজধানীতে নিয়ে আসেন ডিবি পুলিশের এসআই আসিফ ইকবাল। পরদিন বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় তার বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা করেন পুলিশ কর্মকর্তা।
এসআই আসিফ ইকবাল মুঠোফোনে বরিশালটাইমসকে জানান, হাদিস মীরের বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের বিচারক ৩ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনমুতি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, হাদিস মীরকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের অনমুতি পেয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে সীল ব্যবহার করে জাল-জালিয়াতি করার বিষয়টি স্বীকারসহ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে।’