প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত বরিশাল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা বার বার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন । মিডিয়ার কাছে তার ভাষ্য,যখনই বরিশালে অসহায় ট্রাক শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলি তখনি তার দলীয় প্রতিপক্ষের একটি চক্র আমাকে (কালাম মোল্লাকে) নাজেহাল করতে মাঠে নামে। তারই রেশ হিসেবে সম্প্রতি বেশকিছু সাংবাদিকদের মিথ্য তথ্য দিয়ে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে সংবাদ প্রচার করানো হয়েছে। কালাম মোল্লা তার প্রতিবাদ লিপিতে জানান,দক্ষিনবঙ্গের গন-মানুষের নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করা সরকার অনুমোধিত বরিশাল জেলা ট্রাক শমিক ইউনিয়ন।
যারা এর সদস্য তাদের মধ্যে দুর্ঘটনায় পঙ্গু অসহায় দু:স্থ ড্রাইভারদের কল্যানে কেন্দ্রিয় কমিটি ও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের প্রতিদিন একবারের জন্য জেলা শহরের পবেশদ্বারে বসে ট্রাক থেকে সদস্যরা সংগঠনে ৫০ টাকা ও ১০ টাকা মোট ৬০ টাকা চাঁদা জমা রাখার অনুমতি আছে। যখন কোন শ্রমিক বিপদগ্রস্থ হয় তখন তাদের পিছনে এ টাকা ব্যয় করা হয়। এ ধরনের কার্যক্রম বালাদেশের সকল জেলায় অনুমোধন আছে। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল জেলা ট্রাক শমিক ইউনিয়ন বরিশাল ভোলা-লাহারহাট ফেরিঘাটে শাখা কমিটির মাধ্যমে শ্রমিক কল্যানে শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করতো। ওই এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে অপকর্মের কারনে বহিস্কৃত সদর উপজেলা ছাত্রলীগ’র সাধারন সম্পাদক সুজন লাহার ফেরিঘাটে এসে আমাদের শ্রমিক সগঠনের কাছে মাসোয়ারা হিসেবে চাঁদা দাবি করতো। টাকা দিতে নারাজ থাকায় সুজন মিথ্যা অভিযোগ এনে গেল বছর শ্রমিকদের মারধর করে থানা পুলিশের কাছে বেশ কয়েকজন শমিককে পুলিশের কাছে হস্থান্তর করে। ওই সুজনের সাথে বরিশালের একজন গডফাদার ইন্দন দিচ্ছিল। তখন শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে স্থানীয় আ’লীগের মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন শুরু হতো। দলের কথা চিন্তা করে আমরা জেলা ট্রাক শমিক ইউনিয়ন লাহারহাট ফেরিঘাটে কার্যক্রম বন্ধ রাখি। ছিনতাইকারি ও বহু অপকর্মের হোতা সুজন ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার হওয়ার পর আমরা বরিশাল জেলা ট্রাক শমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের নিয়ে আবার লাহারহাট ঘাটে শ্রমিক শাখা চালু করি। কিন্তু সুজনের সেই গডফাদার চক্রটির মিথ্যা তথ্যে বরিশালের কয়েকটি অনলাই গনমাধ্যম আমাকে (কালাম মোল্লা) ও শ্রমিকদের জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বলে দাবি করেন আ’লীগ নেতা কালাম মোল্লা। একইসাথে তিনি দাবি করেন বরিশালে একজন শীর্ষ গডফাদারকে আমারা ট্রাক শ্রমিক সংগঠন থেকে মাসোয়ারা দেই না বলে পুলিশ দিয়ে আমার সংগঠনের কার্যক্রম ফের বন্ধ করে দিয়েছে। একারনে বরিশালে ট্রাক শ্রমিকরা নিজেদের চাঁদা নিজেদের সংগঠনে জমা রেখে অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাড়াতে পারছেনা। প্রায় এক বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে সংগঠনটির কার্যক্রম। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে খুব শ্রীগ্রই ট্রাক শ্রমিকদের নিয়ে বরিশাল জেলায় বিক্ষোভ করবেন বলে জানান তিনি। আবুল কালাম মোল্লা বলেন, তার পিতা মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ও বরিশালের রাজপথ কাপানো আ’লীগ নেতা জল কাদের মোল্লা। সততা ও আদর্শকে ধারন করে তিনি রাজনীতি করছেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রনেতা সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আমার দ্বিতীয় পিতা। তিনি এখানকার শ্রমিকলীগকে শক্তিশালী করতে বরিশাল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন আমাকে (কালাম মোল্লাকে)। বরিশালে উড়ে এসে জুড়ে বসা একটি রাক্ষুসে শকুন চক্র আ’লীগের ঘাড়ে চড়ে বসেছে। এরা আ’লীগকে ববহার করে চাঁদাবাজি করছে। এমনকি শ্রমিকদের সদস্য চাঁদার ওপরেও তাদের নজর পড়েছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিবেন বলে জানান তিনি। আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা তার প্রতিবাদে আরো উল্লেখ করেন,করোনা দুর্ভোগে আমি খেটে খাওয়া জনগনকে খাদ্য সহায়তা দিতে এবার বাড়ীর গাছও বিক্রি করেছি”। করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন ২৫শত পরিবারের মাঝে চাল-ডালসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরন’র বাইরেও সাধারন মানুষকে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেছি। কালাম মোল্লা তার প্রতিবাদ লিপিতে সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, “আপনারা সাংবাদিক । আপনাদের লেখা সংবাদ-ই সমাজের অন্ধকার দুর হয়। আমাকে (কালাম মোল্লা) ও জেলা ট্রাক শ্রমিকদের নিয়ে সংবাদ লেখার আগে ভালোভাবে জেনে নিন। আমরা শ্রমিকদের কল্যানে কাজ করি,না চাঁদাবাজি করি?। কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি চক্রের মিথ্যাও ভূল তথ্যে আপনারা সংবাদ লিখবেন না বলে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।