বরিশালের সাংবাদিক সাকিব বিপ্লব’র আবেগি মনের কিছু বাস্তব লেখা..
জীবনে কিছু কিছু সময় আসে এবং কিছু মানুষের সাথে হঠাৎ করে পরিচয় হয়ে যায়। প্রথমে মনে হয় সময়টা কত না সুন্দর। মানুষটা কত অসাধারণ। কিন্তু কালের অবর্তে এক সময় মনে হয় ঐ সময়টাই ছিল জীবনের বড় অসময়। আর ঐ মানুষটার সাথে পরিচয় হওয়াটা ছিল জীবনের বড় অঘটন। এ বাস্তবতা বহু আগেই মেনে নিলেও কেন যে স্বাভাবিক হতে পারিনি, তা নিজের কাছের কাছে প্রশ্ন করেও উত্তর মেলাতে পারিনি। যে কারণে মাঝে মধ্যে আবেগ আমাকে এতটাই কাতর করে যে ফেসবুকে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে সেই অস্বাভিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে। সেইদিন লিখিছিলাম শুভ বলল ভাবি কোথায়? প্রতি উত্তরে বলেছি স্বর্গে আছে ! এই স্ট্যাটাসটি পড়ে বানারীপাড়ার স্নেহভাজন সংবাদ কর্মী রাহাত সুমন সহ আরও বেশ কয়েকজন কিছু মন্তব্য করে আমাকে ভাল থাকার টনিক স্বরূপ কিছু উপদেশ দিল। বিশেষ করে রাহাত সুমনের মন্তব্যটা এই রকমই যে, ফসলি খেতে ধানের আবাদ করেছিলেন। পাখির উৎপাতে সেই খেতের ধান নিজের ঘরে তুলতে পারিনি। শ্রম ব্যর্থ এবং উপকার না আসলেও অচেনা পাখির দল আপনাকে ভুলতে পারবে না। সেটা আর একটি স্বার্থকতা। এবার নতুন করে ফসল আবাদ করলে কৃষকের ন্যায় ক্ষতিকারক পাখি তারানোর জন্য বাঁশের খুঁটির মাথায় মানুষের মাথা আকৃতি স্বরুপ হাড়ি যেমন টাঙ্গিয়ে দেয় তদরূপ আপনার আগামী জীবনে ভাল থাকার প্রত্যাশায় কিছুটা সতর্ক হতে হবে। সে ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকায় তারাতে হবে আবেগকে। এমন কথার পরেই সেই স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নিলাম। পরক্ষণে আবার সেই রাহাত সুমন আমার পদক্ষেপ দেখে বলল ধন্যবাদ, নতুন একটি লেখা দিন। আমি বললাম মন মানুষিকতা ভাল নেই। প্রতি উত্তরে ও কিছু বলার আগেই আমি বললাম, একটি বাক্য শোনো। যার কথা মালা হচ্ছে, বাস্তবতা উপলব্দিতে গভীর রাতে মনে আসে নানা কল্পনা। তারই আলোকে বলি ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যায়, কিন্তু ভালবাসাকে নয়। যদি কখনো খবর পাও আমি মরে গেছি, তাহলে জেনে নিও..
মিডিয়া, লাইফ স্টাইল, লিড নিউজ